জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বলিউডের বিতর্কের রানি রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্বামী আদিল খান দুরানি। অন্যদিকে, আর্থিক প্রতারণা থেকে গার্হস্থ্য হিংসা- আদিলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন রাখি।
গোপনেই প্রেমিক আদিলকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু একসময় স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ফের সেই বিয়ের কারণেই খবরের শিরোনামে উঠে এলেন তিনি।
জেল থেকে বেরিয়েই রাখির বিরুদ্ধে হেনস্থা ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ করেন আদিল। চুপ থাকার পাত্রী নন রাখিও। এবার নয়া বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী।
রাখির দাবি, তার অজান্তেই নগ্ন ভিডিও শ্যুট করে ৪৭ লাখ টাকায় বেচে দিয়েছেন আদিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদিলের বিরুদ্ধে মারধর, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী।
রাখির সেই অভিযোগের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় আদিলকে। ছয় মাস পরে জেল থেকে বেরিয়েই রাখিকে তুলোধুনা করেন তার প্রাক্তন স্বামী আদিল। তার বিরুদ্ধে রাখির করা সমস্ত অভিযোগের জবাব দেন তিনি।
আদিলের দাবি, রাখি তার আগের স্বামী রিতেশের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। আরও দাবি করেন, তিনি নন, বরং রাখি তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।
আদিল জানান, ‘রাখি বলেছিল, সে আসলে রীতেশকে বিয়ে করেননি। মায়ের মাথায় হাত দিয়ে রাখি এই কথা বলেছিল। আমি তাকে বিশ্বাস করেছি। নভেম্বরে, সে একটি শোয়ের জন্য আমেরিকায় গিয়েছিল এবং আমি দুবাইতে ছিলাম। সে ফিরে আসার পরে, একদিন, আমি রীতেশের কাছে তার ভয়েস নোট দেখেছিলাম। সে বলেছিল, রীতেশ আমি ভুল করেছি আদিলকে বিয়ে করে। এরপর রীতেশের থেকেও টাকা নিত রাখি। আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিল রাখি। আমি এটা বুঝে গিয়েছিলাম।’
আদিলের সেই অভিযোগের পরেই এবার তার বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ আনলেন রাখি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাখি জানান, দুবাইয়ে ৪৭ লাখ ভারতীয় মুদ্রায় অভিনেত্রীর নগ্ন ভিডিও বিক্রি করেছেন আদিল।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বাথরুমে ছিলাম, ও সেটা শ্যুট করেছিল। এরকম অনেক ভিডিও ও শ্যুট করেছিল। আমার পুরো শরীর নগ্ন ছিল। আমি চুপ ছিলাম। আমি ওর স্ত্রী ছিলাম, আর ও বাড়িতেই আমাকে রোজ ধর্ষণ করত।’
কেন সব জেনে বুঝেও চুপ ছিলেন অভিনেত্রী? রাখি বলেন, ‘আমি ভয়ে ছিলাম। ওর কাছে আমার নগ্ন ভিডিও আছে। যদি সেসব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়, তাহলে আমাকে সুইসাইড করতে হবে।’
রাখির প্রশ্ন, ‘আমার ন্যুড ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আমি কি করতাম? আমি কোথায় যেতাম? কীভাবে সারা দুনিয়ায় আমার মুখ দেখাতাম? আমি তো কোনো সাধারণ মেয়ে নই, আমি একজন সেলিব্রিটি, একটা ব্র্যান্ড। এক বছরের মধ্যেই আমাকে তালাক দিয়ে দিল।’
অন্যদিকে আদিলের দাবি, তার সঙ্গে বিবাহে থাকা অবস্থায় রাখি রীতেশের সঙ্গে সহবাস করতো। আদিলের আরও অভিযোগ, তিনি যখন রাখির কাছে ডিভোর্স চাইতে যান, রাখি তাকে মারধর করেন।
আদিলের দাবি, রাখি তার বয়স নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন। রাখি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি আদিলের থেকে ৭ বছরের বড়। কিন্তু আদিলের দাবি, রাখি তার থেকে ১৯ বছরের বড়। এছাড়াও আদিল রাখির বিরুদ্ধে ব্ল্যাক মেইলিং, আর্থিক প্রতারণার এবং মিথ্যাচারের অভিযোগও এনেছেন।
তার দাবি, রাখির থেকে তিনি দেড় কোটি টাকা নেননি, উল্টো তার টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনেছেন রাখি। সাক্ষাৎকারের শেষে আদিল বলেন, তিনি রাখিকে কোনোদিন ক্ষমা করবেন না। বরং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি লড়ে যাবেন।
