দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

পাহাড় কেটে বসতবাড়ী নির্মাণ এর বিকল্প তৈরী না হওয়া: দায় কার

0

সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
উন্নত বিশ্বে পাহাড় কর্তন না করেই বহুতল স্থাপনা তৈরী করার নজির দেখিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, হংকং, নেপাল, ফিলিপাইন, মায়ানমার সহ আরো অনেক দেশ। পরিবেশবিদদের আলোচনায জানা যায়, পাহাড় কর্তনের ফলে ভূমি ধ্বস হলে বিপর্যয় তৈরী হয় পরিবেশে। পাহাড় কেটে ভবন তৈরীর অনুমতিও মিলে না সহজে। অতিবৃষ্টি মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে মারাও পড়ে অনেকে। পাহাড় এলাকায় জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় বসবাসের জন্য বসতবাড়ী তৈরীর আবশ্যকতা বেড়ে যাওয়ায় পাহাড় কেটে বসতবাড়ী নির্মাণ না করে অন্য উপায়ে উন্নত দেশ গুলোর মতই স্থাপনা তৈরী করা কেন অসম্ভব তদবিষয়ে কোনরুপ নির্দেশনা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি সরকারীভাবে।
ভবন নির্মানের অনুমতি প্রসংগে সিটি এলাকায় সিটি কর্পোরেশন, পৌর এলাকায় পৌরসভা ও ইউপি এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ ঘর তৈরীর অনুমতি দিয়ে থাকে। অনেকাংশে পাহাড়ের মাটি না কেটে কাঁচা বসতবাড়ী তৈরী না করে শক্ত স্থাপনা তৈরী করার কোন বাস্তবতা তেমন দেখা যায় না।
এই প্রতিবেদক গত রবিবার ১৪ জানুয়ারি বিকাল বেলায় বান্দরবান ৮নং ওয়ার্ড পৌরসভাস্থ হাফেজঘোনা গোদার পাড় এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহাম্মদ বসতভিটার পাশে আরো মানুষের বসবাসের জন্য বসতবাড়ী তৈরীর জন্য বিশাল পাহাড় কেটে ফেলতে দেখা যায়। ঐ সময় এলাকার লোকজন মনির আহমদ এর বিরু্দ্েধ আঙ্গুল তোলে অভিযোগ করলেও মনির আহমদ তার পুত্র কন্যা সহ দা নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায়। এলাকার দিল মোহাম্মদ এর স্ত্রী কন্যা ও পুত্র গণ বলে উঠে যে, পাহাড় কাটার ফলে অতিবৃষ্টি মৌসুমে মাটি এসে তাদের ঘরের ছাউনীতে পড়লে মারা পড়তে পারে পরিবারের লোকজন। এলাকায় নওমুসলিম রহিম এর স্ত্রীর অভিযোগ সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে হোল্ডিং এর কাগজ নিয়ে বেদখল করে বিক্রয় করে থাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
এ সময় মনির আহাম্মদ এর কাছ থেকে পাহাড় কাটার বিষয়ে প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর এর কার্যালয় হতে পাহাড় কাটার অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করে রেখেছি তবে অনুমোদন পাইনি। সোমবার ১৫ জানুয়ারী পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান উপ পরিচালক এর অফিসে দীল মোহাম্মদ অভিযোগ দিতে দেখা যায় মুনির আহমদের বিরুদ্ধে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মানের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পালা। এবারও কি পাহাড় ধ্বস প্রতিরোধে মাটি কর্তন না করে বাড়ীঘর কিংবা ভবন নির্মানের মডেল/রূপ প্রণয়ন হবে না পাহাড় এলাকায়। যেমনটা নীলগিরী, নীলাচল ও উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে পাহাড় কর্তন না করে কটেজ আকৃতির স্থাপনা তৈরী হয়েছে বান্দরবানে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.