দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

মামলার সাক্ষী হওযায় ছাত্রলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ ও দোকানের মালামাল লুটের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরের সরিষাবাডীতে দ্বাদশ জাতীয সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের কেন্দ্র অফিস ভাংচুর ঘটনার মামলার সাক্ষী হওয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ ও মনোহারী দোকানের মালামাল লুট ও মারধর করেছেন বলে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতিক আব্দুর রশিদ এমপি’র সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাতপোয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওর্য়াড ছাত্রলীগের সভাপতি কবীর সরকার অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সরিষাবাডী থানার এস.আই আনোযার হোসেন ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনেন । বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) রাতে সরিষাবাডী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিযনের চর আদ্রা মোড আব্দুল কাদের এর মনোহারী দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওযার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবীর সরকার বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদ্রা মোড়ে জনকল্যান সেবা সংস্থা অফিসে প্রতিদিনের ন্যায় ইফতার শেষে মোড়ের আব্দুল কাদের এর মনোহারী দোকানে সামনে দাড়িয়ে থাকেন। এ সময স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের বিজযী আব্দুর রশিদ এমপির সমর্থক উপজেলার সাতপোয়া ইউনিযনে চর আদ্রা গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে সোহান মিযা ছাত্রলীগ নেতা কবীর সরকারকে কে দেখে তাকে পাচ মিনিটের মধ্যে মোড় হতে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর অপর ট্রাক সমর্থক এ একই গ্রামের ঠাকুর মিযার ছেলে সোহাগ মিয়া তার সহযোগী সোহান মিযার বেঁধে দেয়া সময উপেক্ষা করে পাঁচ মিনিটের স্থলে দুই মিনিট সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা কবীর কে মোড় হতে সরে যাওযার ঘোষনা দেন। একপর্যায়ে তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরে না যাওয়ায় কবীরের উপর চডাও হয়ে মার মুখি অবস্থার সৃষ্টি হয।এ সময আত্মরক্ষার জন্য কবীর সরকার মোড়ের আব্দুল কাদের এর মনোহারী দোকানের প্রবেশ করে আশ্রয দিতে গেলে এমপি সমর্থকরা দোকানে প্রবেশ করে ইউরিযা বস্তা, জিআই তার, চিনির বস্তা সহ বিভিন্ন বিভিন্ন সামগ্রী লুটের ঘটনা সহ কবীর হোসেন কে মারপিটের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মারধর খেয়েছেন বলে মনোহারী দোকানদার আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এ ঘটনা বেগতিক দেখে ছাত্রলীগ নেতা কবীর সরকার কে মারপিটের হাত থেকে রক্ষার জন্য তাকে দোকানে ভিতর রেখে দোকানটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। এ সময আব্দুর রশিদ এমপি সমর্থক সোহান ও সোহাগ এর ২৫/৩০ জন সহযোগী দোকান সামনে সমবেত হয়ে লাঠি দিয়ে দোকানের ঝাঁপ পিটাতে থাকে। খবর পেয়ে কবীর সরকারের বড ভাই সাতপোয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওযার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ সরকার ঘটনাস্থলে এলে তাকেও নলকূপের হ্যান্ডেল হাতে নিয়ে ধাওযা করলে সে দৌডে চলে যায়। এ ঘটনায় সরিষাবাডী থানার এসআই আনোযার হোসেন পরিস্থিতি নিযন্ত্রনে এনে ছাত্রলীগ নেতা কবীর সরকারকে তার জ্যাঠা জলিল মন্ডলের নিকট বুঝিয়ে দিয়ে বাডীতে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে সাবেক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কবীর সরকার জানান, সাতপোযা ইউনিযন আওযামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দুদু’র ইন্দনে অবরুদ্ধ ও মারপিটে উদ্যতের স্বীকার এবং তার বড় ভাইকে ধাওয়া দেওয়া এবং আমাকে মারপিটের হাত থেকে বাচাতে মনোহারী দোকানদার আব্দুল কাদের মারপিটের স্বীকার হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে বিচার দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে সাতপোয়া ইউনিযন আওযামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দুদু’র নিকট তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাডী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায কোন অভিযোগ পাওযা যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওযা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.